বাসার কাছাকাছি অফিস অথবা কাজের জায়গা থাকলে দুপুরে বাসায় এসে খেয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু ঢাকা শহরে কি আর সেই সুযোগ আছে? অধিকাংশ মানুষই বের হন সারাদিনের নাম করে। অর্থাৎ সকালে গিয়ে সেই সন্ধ্যায় ঘরে ফেরা। এর মাঝে বাইরের খাবারে ভরসা না থাকায় অনেকে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যান।
কিন্তু একটু অসচেতন থাকলে সকালে টিফিন ক্যারিয়ারে নেওয়া খাবারটুকু দুপুর হতেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বাইরে খাবার নিতে হলে যেসব নিয়ম একটু মানলেই খাবার থাকবে টাটকা, সেটা জেনে নিন। এতে করে খাবারের স্বাদ গন্ধ যেমন অটুট থাকবে তেমন পুষ্টিমানও বজায় থাকবে।
দূরের ভ্রমণের সময়ও আমাদের খাবার নিতে হয় সাথে। সেসময়ও মানতে পারেন এসব টোটকা। *
১. অফিসে খাবার নেবার জন্যে ছোট একটি হটপট কিনে নিতে পারেন। এরমধ্যে খাবার নিলে খাবার যেমন অনেকক্ষণ ভালো থাকবে তেমন কিছুক্ষণ পর খেলেও গরম ভাবটা পাবেন।
২. কখনোই গরম খাবার বাক্সে নেওয়া যাবে না, এতে খাবার গন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে তাড়াহুড়োয় বের হবার সময় অনেকেরই সময় থাকে না খাবার ঠান্ডা করার। সেক্ষেত্রে গন্তব্যে যাওয়ার পর খাবারের বাক্সটাকে একটু খুলে রাখতে হবে, যাতে গরম ভাপ বের হয়ে যায়। তাহলে খাবার ভালো থাকবে।
৪. ঠান্ডা করা খাবার অফিসে নিয়ে অফিসে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সুবিধা থাকলে সেখানে গরম করে নিয়ে তবে খান। এতে করে স্বাদ পাবেন।
৫. টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে কোনো খাবার না নেবার চেষ্টা করুন। টিস্যুতে মুড়িয়ে নিলে খাবারে আঠালো ভাব চলে আসে।
৬. চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে নিতে পারেন অনায়াসে। ভালো থাকবে দীর্ঘক্ষণ।
৭. ঠান্ডা জাতীয় কোনো খাবার বাইরে নিতে হলে অবশ্যই কোল্ডপটে নিবেন। এতে বেশিক্ষন এসব খাবার ঠান্ডা রাখতে পারবেন।
৮. ভ্রমণে শুকনো খাবার নেওয়াটাই ভালো। অনেকক্ষণ খাবার ভালো থাকে। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে ছিদ্র করে তাতে খাবার মুড়িয়ে ভরা যেতে পারে। তাহলে খাবার নষ্ট হবে না।
আর বাসা থেকে খাবার আনতে ভুলে গেলে বা খাবার নষ্ট হলে খাবার অর্ডার করুন sheba.xyz অ্যাপের সাহায্য নিয়ে । চাইলে পুরো মাসের জন্য খঅবারও অর্ডার কেরতে পারেন। এছাড়া ২৪ ঘন্টা কাস্টমার কেয়ারের সাহায্য নিতে ফোন করুন ১৬৫১৬ নম্বরে।