সেই আসল ফ্রেমের কবি
যে তুলতে পারে বিয়ে উৎসবের
আনন্দের ছবি
আমার জীবনে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল! আমার বিয়ের সময় নিজে নিজে সব করতে গিয়ে অবশ্যই কিছু খুটিনাটি বিষয় তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল! তারমধ্যে অন্যতম হলো শাহ নজরের আয়না কেনা! কী সুন্দর করে ছবি তোলা হয়- আয়নাতে নতুন দম্পতির মুখ! কিছুটা উদ্ভাসিত – অনেকখানি লজ্জায় রাঙা! তাই আয়নাটাও হতে হয় তেমনই! এখন তো অনেক কাস্টমাইজড আয়না পাওয়া যায় বটে! কিন্তু আমার বিয়েতে এলো ক্যাটক্যাটে গোলাপী রঙের একটা আয়না! যেমনটা থাকে চশমার দোকানে – ঠিক তেমন! কি লজ্জার বিষয়! কিন্তু আমাদের যিনি ফটোগ্রাফার ছিলেন তিনি অসাধারণভাবে সেই গোলাপী জেগে থাকা বর্ডারটা এড়িয়ে ছবি তুললেন! বা এডিট করার সময় আয়নার সেই ব্যাপারটা যত্নে বাদ দিলেন! এই না হয়ে ওয়েডিং ফটোগ্রাফী!
এখন ওয়েডিং ফটোগ্রাফি তো মোটামুটি একটা পেশাই। অনেক তরুন তরুনী বিয়ের উৎসবকে রীতিমত শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। নিত্যনতুন থিম, পোশাকের আইডিয়া, লোকেশন দিয়ে আনছে নতুনত্ব বিয়ের উৎসবে। এখন এই বিয়ের মৌসুমে যারা বুঝতেই পারছেন না ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কি সলুশন হবে – তাদের জন্য আজকের বকবক।
কবে যোগাযোগ করবেন:
বিয়ের ছবি তোলা কিন্তু চাট্টি খানি কথা না। এটা আসলেই শিল্প। কারণ এই শিল্প মুহুর্ত ধরে রাখে। কোনও মুহুর্ত যদি বানোয়াট করা হয় তাহলেই খেল খতম! তাই ফটোগ্রাফার হতে হবে সে রকম যার ক্লিক-এ হবে বাজিমাৎ। একারণেই যত আগে সম্ভব বিয়ের ফটোগ্রাফার ঠিক করে ফেলা দরকার। এতে প্যাকেজ নিয়েও আলাপ করা যায়। কেউ চাইলে ব্যাচেলর নাইট থেকে ধরে ফটোগ্রাফার ঠিক করতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু মূল প্রোগাম। কিন্তু যাই ঠিক করা হোক না হোক- একমাস আগে বিয়ের ফটোগ্রাফারের ফোন নাম্বারটা স্পিড ডায়ালে রাখতে হবে!
কেন আগে চাই ফটোগ্রাফার নির্বাচন:
আমরা মনে করি- বিয়ের দিন আসবে – ছবি তুলবে আবার চলে যাবে! বিষয়টা এখন আর তেমন নেই কিন্তু! হলুদের স্টেজ সাজানো থেকে শুরু করে নিজের পোশা বা মেকআপের ব্যাপারে আলোচনা করাটাও জরুরি। স্টেজের পেছনে টুনিবাতি দিতে চাইলে কতটুকু দুরুত্বে থাকবে, বা স্পটলাইট দিলে কতটুকু গ্যাপ মেনে দিতে হবে- এগুলো কিন্তু একজন ভালো ওয়েডিং ফটোগ্রাফারই বলতে পারেন। কারণ তার ছবি তোলার সাথে পেছনে লাইট ও শেডের অনেক গাঢ় বন্ধু্ব আছে বটে! পান থকে চুন খসলেই ছবি বরবাদ! আবার পেছনের ডেকোরেশনের রং আর পোশাকের রং ম্যাচ না করলেও পেরে পস্তাতে হবে! তাই আগে আগে এই বোঝাপড়াটা হয়ে যাওয়া জরুরী।
তাকে বোঝাতেও হবে:
ওয়েডিং ফটোগ্রাফি মানে শুধু কিন্তু বর কণের ছবি নয়! ওয়েডিং ফটোগ্রাফি মানে দুটি পরিবারের আনন্দ ধরে রাখার নিখুঁত ফ্রেম। তাই পরিবারের আত্মীয়দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। পরে কারও ছবি না খুঁজে পেলে তাকে গালমন্দ করলে চলবে না। নিশ্চয়ই ফটোগ্রাফার পারিবারিক সকল বন্ধুকে চেনে না। সময় পেলে আগেই পরিচয় করিয়ে ব্রিফ দিয়ে রাখুন। আর বিয়ের দিন থাকুন ঝলমলে।
বিশ্বস্তার বিকল্প নেই:
বিয়ের ছবি তোলানোর জন্য শুধু প্যাকেজ হিসেব নয়- দেখতে হবে বিশ্বস্ততার ব্যাপারটিও। কাদের রেকর্ড ভালো। কে ছবি তুলে আজীবনের জন্য হারিয়ে যায় না, কার সাথে পার্টনারশিপে আর্থিকভাবে সমন্বয় থাকবে- সব বিবেচনা করে তবেই ফটোগ্রাফার নির্বাচন করা প্রয়োজন!
যারা এখন রমরমা অবস্থায় আছেন তাদের মধ্যে অরেঞ্জ ভিজুয়াল, মেমোরিয়া, মেট্রোওয়েডিংস , রিলস এন্ড স্টোরিজ , মেমরি লেন কাজ করছে তরুনদের নিয়ে।
ফেসবুক পেইজগুলোতে ঢুঁ মারলে পাওয়া যাবে শতশত অপশন। তবে সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনার হাতের মুঠোফোনে থাকে sheba.xyz অ্যাপ! বিশ্বস্ততার সাথে এই সার্ভিস আপনাকে দেবে সেরা ওয়েডিং ফটোগ্রাফির খোঁজ! আর তো চিন্তা থাকবেই না- বরং ফুর্তির সাথে sheba.xyz অ্যাপকে সঙ্গী করে মেতে উঠুন বিয়ের আনন্দে! জীবনের অন্যতম বড় একটি ঘটনায় শুধু আনন্দই হোক সঙ্গী!
এজন্য আজই ইনস্টল করতে হবে sheba.xyz অ্যাপ বা ছোট্টা একটি কল করতে হবে 16516 এই নম্বরে।
- রুম্পা সৈয়দা ফারজানা জামান