সামনেই কুরবানীর ঈদ। তাই এখন থেকেই শুরু হোক সঠিক ভাবে উৎসব পালনের প্রস্তুতি।
কুরবানীর ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু বিষয় আগে খেয়াল রাখলে উৎসবকালীন সময়ে কম ঝামেলায় পড়তে হবে।
আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পালিত হবে ইসলাম ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ‘ঈদ-উল-আযহা’, যেটি কুরবানীর ঈদ নামেই বেশি পরিচিত। আল্লাহর নামে ‘প্রিয় পশু’ কুরবানীর করার মধ্য দিয়ে ত্যাগের মহীমা অর্জনই এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।
প্রথমেই খেয়াল করুন গোশত কাটার জন্য ঘরে দা বটি ছুরি আছে কিনা। থাকলে আগে থেকেই ধার দিতে পাঠান। সময় গড়াতেই ভীড় লেগে যাবে কামার পাড়ায়।
ঘরে জীবানু নাশক উপাদান আছে কিনা দেখে নিন। না হলে ব্লিচিং পাউডার ও ক্ষত স্থানে লাগাবার জন্য এন্টিসেপটিক ক্রিম রাখুন পাশে। গোশত কাটার সময়ে ঘরে একটু ঘ্রানের সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাশে রাখতে পারেন এয়ার ফ্রেশনার।
কুরবানী দেয়া পশুর গোশত জমা না রাখাই উত্তম। তারপরেও যদি প্রয়োজন হয় রাখতে পারেন ফ্রিজ করে। বাসায় রেফ্রিজারেটর থাকলে, আগেথেকে দেখে নিন ঠিকমত ঠান্ডা হয় কিনা। কোন সমস্যা মনে হলে রিপেয়ারে পাঠান এখনি।
পাশাপাশি মশলা তৈরির ব্লেন্ডারটা ঠিক আছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখুন। ঘরে বসেই মেরামত করিয়ে নিতে পারেন এসব যন্ত্রগুলো।এক্ষেত্রে সেবা ডট এক্সওয়াইজেড থেকে সাহায্য নিতে পারেন, সেবা অ্যাপের মাধ্যমে অথবা ডায়াল করুন ১৬৫১৬ নম্বরে।
কুরবানীর ঈদে নতুন জামাকাপড় কেনার তেমন হিড়িক থাকে না। ফলে ঈদের দিন পরিবারের সদস্যদের জামাকাপড় গুলো ধোয়া আছে কিনা খেয়াল করুন। আগে থেকেই লণ্ড্রী বাকেটে রাখতে পারেন ওগুলো। আর ধোয়ায় ঝামেলা এড়াতে চাইলে সেবা অ্যাপের মাধ্যমে নিতে পারেন লণ্ড্রী সার্ভিস।
ঈদের সময় এমনিতেই বাসায় মেহমান বেশি থাকে। বাথরুমে বেসিন আর পানির ট্যাপ ঠিক না থাকলে বাড়তে পারে বিরম্বনা। বিরম্বনা এড়াতে চাইলে এখনই করিয়ে নিন প্ল্যাম্বিংয়ের কাজ।
তো শুরু করুন, এখনই। দেখবেন আপনার উৎসব আয়োজন হয়ে উঠেছে আরো সহজ।