বিয়ের সেরা ”হ্যান্ডেল”
পছন্দসই স্যান্ডেল
বিয়ের সময় কিন্তু সব নিয়ে আগে ভাগে আলাপ হয়! মেক আপটা কার হাতে করানো হবে, কই থেকে করানো হবে! শাড়িটা চাই ঢাকাই কাতান! ব্যাস! বা জামদানী! জামদানী দিয়ে লেহেঙ্গা হলে তো পুরো শহরজুড়ে রব পড়ে যাবে। হলুদের স্টেজ সে করবে! মালা ও কিনবে! হৈ হৈ ব্যাপার রে বাবা! এসবের ফাঁকে যা চাপা পড়ে যায় প্রায়ই – তা হলো পাদুকা! মানে স্যান্ডেল! যা কিনা অনাদরে থাকলেও পোশাকের সাথে মানানসই না হয়ে একেবারে সাজ মাঠে মারা যাবার মত অবস্থা হয়!
আবার আরও ব্যাপার আছে! হলুদের সময় ফ্ল্যাট নিবেন নাকী একটু হিল? রিসেপশনের সময়র জুতোটার হিলটা কী হাই হবে নাকী একটু কম হাই! এগুলো ভাবার অবসর না থাকলেও ভাবতে তো হবেই! বিয়ে বলে কথা! কারণ এটা এমন একটা বিষয় কাউকে দিয়ে কেনানো যাবে না! নিজের পায়ের মাপেই কিনতে হবে! নিজের পায়ে মানাতেও হবে! সে এক বিশাল ইতিহাস কিন্তু! একারণেই একটু বকবক না করলে কি চলে?
বিয়ের জুতো কখন কিনবেন:
বিয়ের উৎসবের জুতোটা কিনে ফেলা দরকার আগেভাগেই! সেটা বর কণে উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য! কারণ পরে নানা জটিলতায় আটকে যাবার একটা সম্ভাবনা থাকে! আর এই জিনিষটা আসলেই চট করে কেনা যায় না। অনেক জুতো আছে শোকেসে দেখতে ভালো লাগে! কিন্তু পায়ে দিলে ভালো লাগে না। তাই পরে–বুঝে এবং ম্যাচিং করে কিনতে হলে তখনই কেনা দরকার যখন পোশাকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে!
কোন অনুষ্ঠানে কেমন জুতো:
এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না। এখানে তো নিজের গল্প না করলেই নয়। আমার হলুদের সময় ইচ্ছে করেই পরের কথা চিন্তা করে হিল ওয়ালা জুতো নিলাম! আমার বেশ পছন্দ! কিন্তু পাড়াপড়শির ঘুম নেই! হলুদে নাকী ফ্ল্যাট জুতো কিনতে হয়! কে কবে কি নিয়ম করেছে জানি না! তবে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে ভালো! হলুদে যেহেতু নাচানাচির ব্যাপার থাকে– ন্যাচারাল হিল বা ফ্ল্যাট জুতো হতে পারে! সামান্য হিল হলেই বা ক্ষতি কি? ছেলেরা ইদানিং খড়ম পড়েন! আর নাগড়া তো চাইই চাই বিয়েতে! মেয়েদের তো অপশনই অপশন! নিজের ব্যাক্তিত্বের সাথে মিলিয়ে বেছে নিলেই হলো!
কাস্টমাইজড জুতো:
এখন কিন্তু এটা বেশ ট্রেন্ড! অনেক অনলাইন সু–শপ কাস্টমাইজড বিয়ের জুতো তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে! তাই ইচ্ছেমত লেইস, বিডস বা পুতি দিয়ে জুতোর অলঙ্করণ করে নিলেও মন্দ হয় না। লা মোড কাস্টমাউজড জুতোর জন্য বেশ আলোচিত। আবার নিজেও একটা মজার কাজ করতে পারেন। একরঙা জুতো কিনে পছন্দমত পতি–লতা–পাতা আঠা দিয়ে আচ্ছা মত সেঁটে বা সেলাই করে নিলে জুতোটা হবেই অন্য রকম পাশাপাশি নিজে সারাজীবন এটা নিয়ে গর্বও করতে পারবেন! নিজের পছন্দের জুতো নিজের হাতে গড়ার মজাই তো আলাদা!
জুতোর বাজার:
এলিফেণ্ট রোড এখনও মেয়েদের জুতোর বাজারের জন্য আছে পছন্দের তালিকার শীর্ষে! এছাড়াও ঢাকার নিউমার্কেট, পিংক সিটি, সীমান্ত স্কয়ার ইত্যাদি মার্কেট বেশ জনপ্রিয়! খাজানা, সেলিব্রেশন, রাখীজ, ক্যাটস আই (উইমেন), লামোড– ইত্যাদি দোকানেও ঢু মারতে পারেন ইচ্ছা মত!
আর তাও না হলে অনলাইনে যেকোনও শপিং–সাহায্যের জন্য তো Sheba.xyz আছেই। এছাড়াও বিয়ের অন্যান্য হ্যাপা কমানোর এবং স্পেশাল বিউটি অ্যান্ড ওয়েডিং প্যাকেজ সার্ভিসটা তো আছেই। যার যা পছন্দ তা নিয়েই আলোচনা করে ঠিক সার্ভিসটা নেওয়া যাবে Sheba.xyz –নানা ধরনের প্যাকেজ থেকে।
এজন্য আজই ইনস্টল করতে হবে sheba.xyz অ্যাপ বা ছোট্টা একটি কল করতে হবে 16516 এই নম্বরে।
– রুম্পা সৈয়দা ফারজানা জামান