আমরা কেউই রোবট না, আমাদের জীবনে নানা ধরনের সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু তার মধ্যেও আমাদের অফিসে কাজ করে যেতে হয়। যেটা অনেক সময় আমাদের কাজের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

এক্ষেত্রে কি করনীয় তা নিয়েই আমাদের এবারের পর্ব।

ব্যাক্তিগত সমস্যায় অফিস

১. নিজেকে সময় দিন : যে কোন খারাপ সময়ে নিজেকে সময় দেয়াটা খুব জরুরী। যদি পারেন আপনার মিটিংগুলোর সময় পরিবর্তন করুন। নতুন নতুন প্রজেক্টে ওই সময় মাথা না দেয়াটাই কাম্য। কারন আপনার অন্যমনস্কতায় যে কোন ধরনের গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত ভুলও হতে পারে। সেজন্য রুটিন কাজগুলো করুন।

২. শেয়ার করুন ভেবেচিন্তে : আপনার মানসিক অবস্থা আপনি শেয়ার করতেই পারেন। অনেক সময় দেখা যায় বাসার চাইতে বেশি সময় আমরা অফিসের কলিগদের সাথে থাকি। তাই মনে হয় তারাই বড় বন্ধু, কিন্তু আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কার কাছে শেয়ার করবেন বা কতটুকু শেয়ার করবেন। মনে রাখবেন আজকে যে আপনার বন্ধু কাল সে আপনার বিপক্ষেও থাকতে পারে। যতটুকু শেয়ার করলে বিপদে পড়বেন না ঠিক ততটুকুই বলুন।  তবে অন্যদের কাছ থেকে আপনার প্রয়োজন কতটুকু, কি কি জায়গায় তাদের সাহায্য চান সেটা স্পষ্ট করে জানান। তবে মনে রাখবেন আপনার মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে যে কেউ আপনাকে নিচে নামিয়ে দিতে পারে। তাই লাগামটা নিজের হাতে রাখতে শিখুন।

৩. সেট লিমিট : ঠিক কতটুকু সময় আপনি আপনার পরিবারকে দিবেন আর কতটুকু বন্ধু বা কাজের ক্ষেত্রে, সেটা আপনাকেই নির্ধারন করতে হবে। অনেক সময় পরিবারের লোকজন আপনার প্রতি আবেগপ্রবন হয়ে আপনার কাজের সময় আপনাকে ফোন দিয়ে বসতে পারে। কিন্ত সেই ফোনটি আপনাকে আরও আবেগপ্রবন করে দিতে পারে। তাই পরিবার ও কাছের মানুষকে জানিয়ে দিন, আপনার কাজের সময়ে যেন খোঁজ খবর নেয়ার জন্য যোগাযোগ না করে।

৪. সম্পুর্ন আলাদা কিছু করুন : অনেক সময় মাইন্ড শিফটিং বলে একটা টার্ম আমরা সবাই কম বেশি ব্যবহার করি। আপনার দৈনন্দীন রুটিন থেকে বের হওয়ার জন্য আপনাকে মনকে অন্যদিকে প্রভাবিত করতে হবে। সে সময় আপনি নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করতে পারেন। দেখবেন আপনার পারসোনাল প্রবলেমটা ভাবার সময়টা পাচ্ছেন না। সমস্যাগুলো আস্তে করে কেটে যাবে।

৫. সাহায্যকারী খুঁজে নিন : অফিসে বসে কাজ করতে পারছেন না ? বাসার টেনশন আপনাকে কাজ করতে দিচ্ছে না? পরিবারের যে মানুষটি আপনার খুব কাছের, মনে করছেন তার পাশে থাকাটা আপনার জন্যে হেল্পফুল, তাকে অনুরোধ করুন পাশে থাকতে। আপনি তার পাশে থেকেই আপনার অফিসের কাজগুলো সেরে ফেলতে পারেন সহজেই।

পরিশেষে নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন যে, যেকোন পরিস্থিতিতেই আপনি ঠান্ডা মাথায় সামাল দিতে পারবেন। একবার এই আত্মবিশ্বাসটা চলে আসলে অনেক সমস্যাই সহজে কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

ক্যারিয়ার সম্পর্কিত এ ধরণের আরো টিপস পেতে নজর রাখুন Sheba.xyz এর ফেসবুক এবং লিঙ্কডইন পেজে।

ধন্যবাদ।

 

 

Leave a comment

Casinos en Argentina con Depósito Mínimo de 1000 ARS