একটানা ছুটি পাচ্ছেন না ? ব্যস্ততায় হাঁপিয়ে উঠেছেন ? –ঝটপটঘুরে আসুন ঢাকার আশেপাশেই কোথাও থেকে। দেখবেন মনের ভার অনেকটা নেমে যাবে, সাথে বেশ হালকাও লাগবে আপনার। যানজটের নগরী ঢাকাতে প্রকৃতির কাছে বসে একটু বিশ্রাম নেয়ার কোন সুযোগ নেই, তাই ঢাকার বাইরেই হয়ত যেতে হবে আপনাকে।  তবে ঢাকার কাছেই কিন্তু দর্শনীয় সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু জায়গা যেখানে ঢাকাবাসীরা একটু হলেও রেহাই পাবেন।

শহরের কাছেই এমন কিছু সুন্দর জায়গার খোঁজ এখানে দেয়া –

 

মৈনট ঘাট

অনেকেই একে বলেন  মিনি কক্সবাজার, ঢাকা থেকে একটু দূরে পদ্মার পাড়েই মৈনট ঘাট । মৈনট ঘাটে পৌঁছেই দেখতে পাবেন সামনে বিশাল নদী আর পায়ের নীচে ধুলোর সমুদ্র। আরেকটু  সামনে গেলেই পাথর। কাছে নৌকা আর স্পীডবোটও আছে, পদ্মার বুকে ভেসে বেড়াতে পারবেন ইচ্ছেমতন।  নদীর পাশেই আছে ছোট্ট গ্রাম। ইচ্ছে করলে গ্রামের ভেতরে হেঁটে বেড়াতে পারবেন।

 

নুহাশ পল্লী

গাজীপুর  থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ মনের রঙে গড়ে তুলেছেন নুহাশ পল্লী । অসংখ্য ঔষধি গাছ, ফলজ আর বনজ গাছে সবুজে একাকার এই নুহাশ পল্লী। এখানেই হুমায়ূন আহমেদ গড়ে তুলেছিলেন স্যুটিং স্পট, দিঘি আর সুদৃশ্য বাংলো। আরও তৈরি করা হয়েছে রূপকথার মৎস্যকন্যা আর রাক্ষস। আরও আছে পদ্মপুকুর, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়োথেবড়ো সুইমিং পুল। সবুজের বুকে লেখকের স্বপ্নে গড়া এমন সুন্দর জায়গায় প্রিয়জনের সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।

 

গোলাপ গ্রাম

গোলাপে গোলাপে পরিপূর্ণ ছোট্ট একটা গ্রাম। মনে হবে যেন শুধু ফুলের সমুদ্র। যেখানে তাকাবেন সেখানেই শুধু ফুল আর ফুল। ক্ষেতে, মাঠে, ঘাটে, বাড়ির উঠানে – এমন কোন জায়গা নেই যে গোলাপের ছোঁয়া নেই। গ্রামের সরু পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখবেন পথের দুপাশে শুধু গোলাপের সারি। গোলাপের রাজ্যে ঘুরে আসলেই অন্যরকম এক ভালো লাগা জুড়ে থাকবে আপনাকে।

 

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

দেশের সবচেয়ে বড় জমিদারবাড়িগুলোর একটি বালিয়াটি জমিদার বাড়ি । ঢাকা জেলা সদর থেকে মাত্র পয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলয় এই প্রাচীন বাড়িটি অবস্থিত। বাড়িতে এখনো বেশ জমিদারি ভাব। বাড়ির সিংহ দরজার সামনে প্রশস্ত আঙ্গিনা, চারটি বহূতল ভবন, এর পিছে জমিদার অন্দরমহল আর বাড়ি ঘিরে কয়েকটি পুকুর। জমিদার বাড়ির ভিতরে রং মহল নামের ভবনটি এখন জাদুঘর করা হয়েছে। আপনার যদি একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা নেয়ার ইচ্ছে  থাকে, তবে  ডুবে যান এই জমিদার বাড়ির ইতিহাসে।

 

জিন্দাপার্ক, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একটি গ্রামের প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা সবুজের রানী এই পার্ক। বিশুদ্ধ কোলাহলমুক্ত এই পার্কে আছে ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশি গাছ-গাছালি, ট্রি-হাউস, টিলা, ফুলের বাগান এবং লেকের ওপর চমৎকার ব্রিজ। পুরো পার্ক জুড়ে বিছানো কার্পেটের মত ঘাস আর ৫টি জলধারা। পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘোরার জন্য দারুণ এই পার্কটিতে আপনাকে টিকেট খরচ করতে হবে মাত্র ১০০ টাকা প্রতিজন।

 

জীবনে ব্যস্ততা ঝামেলার কোন শেষ হবে না । বরং সময় যত যাবে, তত ব্যস্ততা বাড়তে থাকবে। এরই ফাঁকে আপনাকে খুঁজে নিতে হবে প্রিয়জনদের সাথে কিছু মুহূর্ত যা হয়ত আজীবন আপনার স্মৃতিতে ফ্রেমবন্দি হয়ে থাকবে। তাই সুযোগ পেলেই, ছুটির দিনে অথবা বাড়তি ছুটি নিয়ে পরিবারকে নিয়ে ঘুরে আসুন ঢাকার কাছেই কোন সবুজ সুন্দর জায়গা থেকে। যদি গাড়ি ফ্রি না থাকে অথবা ড্রাইভার ছুটিতে থাকে, তাহলে সেবা অ্যাপেই বুক করে ফেলুন রেন্ট-এ-কার। ঘুরতে যেতে আসতে কতক্ষণ লাগবে, কেমন খরচ পড়বে ইত্যাদি সব তথ্য সেবা অ্যাপেই আছে। আর এর বাইরেও আরও জানতে চাইলে ১৬৫১৬ এ কল করলেই সব রকম তথ্য বিস্তারিত পেয়ে যাবেন ।

সেবা অ্যাপ ডাউনলোড লিংক : bit.ly/ShebaApp

 

Leave a comment

Casinos en Argentina con Depósito Mínimo de 1000 ARS