শীতটা আসি আসি করেও আসছে না! গায়ে গরম কাপড় চাপি চাপি করেও চাপছে না! কিন্তু ত্বক ঠিকই কিছু না বলেই টান টান হযে গেছে! মানে শুষ্কতায় জর্জরিত আর কী! শীত আসুক বা না আসুক, ত্বকই বলে দেয় নভোমণ্ডলের কোনও এক স্তর ভেদ করে শীত পৌছে গেছে আমাদের ত্বকের কোষে কোষে! এই হলো অবস্থা!
আমার মা হলেন পদ্মার পাড়ের মানুষ! কোনও ক্রিম – লোশনে বিশ্বাস করেন না। বাসায় যা থাকে তা নিয়েই নিত্র দিনের ঘষামাজা টাইপ! ধরেন কলা খেল, খোসাটা ফেলার আগে একটু মুখে ঘষে নিলেন! আমাকেও ধরে এমন কতবার যে কতকিছুর খোসা মুখে চটকে দিতেন! বাদ যাবে না একটি খোসাও টাইপ! বাদ যাবে না একটি ফলও!
শীতে তার অস্ত্র হলো দুধ! আর পরে কিভাবে যেন মধুও চলে এলো! এমনিতেও মধু নিয়ে অনেক চর্চা হলেও প্যাক তৈরির ব্যাপারে মধুর “মধুর ব্যবহার” কমই সামনে আসে। আমি তো মায়েরই মেয়ে! বুবু বলে কথা! এই সময়ে মধু আর দুধের গুনগান না করলে চলে? বুবুর কথামত প্যাকগুলো ব্যবহার করে শীতে থাকুন চনমনে!
দুধ আর মধুর যুগলবন্দী
দুধের ভিটামিন ই পেতে লোশন কেন! সরাসরি দুধই ব্যবহার করুন না। সাথে নিন ভিষণ উপকারী মধু! মধু ও দুধের প্যাক তৈরি করতে একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ দুধের মালাই এবং মধুর নিয়ে ভাল করে মিশান।মিশ্রণটিকে আপনার ত্বক ও চেহারার ওপর মেখে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি ধুয়ে ফেলুন। তারপর ভাল করে পাতলা কাপড় দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। ঠিক তখনই ত্বকের উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করতে পারবেন। নিয়মিত করুন। লাভ হবে নিশ্চিত!
পেঁপের সাথে দুধের মিল:
আবার বলছি দুধের ভিটামিন-ই শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। সাথে পেঁপে থাকলে হয় আরেকটি ম্যাজিক! মাঝারি আকারের একটি পেপের অর্ধেকটা নিন। এরসাথে কাচা দুধ মিশিয়ে ভর্তা করে নিন। প্যাকটিকে আপনার ত্বকে ভাল করে মেখে নিন। এরপর এটির শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কলের পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
ভাত-মধু-দুধের মিশেল:
এই তিন-চার চামচ ভাত না খেয়ে সরিয়ে রাখুন। সাথে দেড় চামচ মধু এবং দুই চামচ দুধ মিশিয়ে নিন! প্রথমে ভাত গরম অবস্থায় ভালো করে চটকে নিন। এরপর এতে মধু ও ও সামান্য গরম দুধ দিয়ে ভারো করে মিশান। এবারে মুখ ধুয়ে মুখ ধুয়ে এই ঘন প্যাকটি মুখে, গলায় লাগান। শুকিয়ে এলে ধয়ে নিন! সপ্তাহে একবার করলেই এটি যথেষ্ট। ভাতে থাকে লিনোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই যা ত্বকের বলিরেখাকে দূরে সরিয়ে ত্বকের বয়সকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মধু গাজরে ত্বকের যত্ন:
এই সময়ে গাজর একেবারে ফ্রেশ থাকে। এবং আপনি হয়তো জানেনও না, গাজর ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে সজীব কোষগুলোকে জাগিয়ে তোলে। এজন্য যা করতে হবে তা হলো, একটি আস্ত গাজর নিয়ে তার সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর এটিকে ভাল করে চটকে মিশ্রণ তৈরি করুন।মুখে ১৫মিনিট মিশ্রণটি রেখে ধুয়ে ফেলুন। গাজরে থাকা প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন কুচকানো ত্বকের যত্নেও কার্যকর ভিষণ কার্যকরী!
আর তাও যদি সময়ে না কুলায় তাহলে এই শীতে আপনার যত্নে পাশে পাবেন Sheba.xyz –কে। যেকোনও সময়ে Sheba.xyz –এর বিউটি রিলেটেড সার্ভিস থেকে পছন্দের প্যাকেজ নিয়ে ঘরে বসেই শীতে সজীব এবং প্রাণবন্ত থাকা যাচ্ছে এখন সহজেই। শুধু হাতে স্মার্টফোন এবং ফোনে Sheba.xyz থাকলেই হলো!
এজন্য আজই ইনস্টল করতে হবে Sheba.xyz অ্যাপ বা ছোট্টা একটি কল করতে হবে 16516 এই নম্বরে।