জ্যাকেটের পকেটে হাত থাকলে সেটা আর বের করতে ইচ্ছে হয়না! না খেতে ইচ্ছে হয়, না ঘুরতে ইচ্ছে হয়। কেমন যেন গুমোটভাব! কিন্তু এসময়ে পেটে খেলেই ত্বকে সইবে এবং এটা মানতেও হবে।

কারণ সবাই জানে, যদি খাওয়া দাওয়াটা ঠিক না হয় তাহলে বাপু উপরে যাই ব্যবহার করো কোনও লাভ হবে না! কিছু কিছু সৌন্দর্য আসে ভেতর থেকে। যেমন পুষ্টিকর আহারে কেলবে ত্বক, প্রোটিন খেলে হাসবে চুল, চর্বি কম খেলে ঝড়বে মেদ- এগুলো তো আর এমনি এমনি হয়নি!

তাই বুবুও বলে যা খাবে- তাই ফল পাবে। পরামর্শ দেওয়ার আগে আরেকটা গল্প বলে দেই! ধরি, মেয়েটির নাম ‍ববি। ববি বিগত ১ বছর ধরে শুধু শশা আর গাজর খায়। খুব বেশি খিদে লাগলে একটু টক দই! শীত আসার আগে আগে তার ত্বক-সিস্টেম পুরোই বিগড়ে গেল!

এবং সরীসৃপের মত চামড়া খসে খসে যেতে থাকলো! কারণ তেল এবং প্রোটিন একেবারে বাদ দেওয়াতে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়েছে মানে একেবারে বনবাসে চলে গেছে!

তাই আর যতই আলসেমি বা ডায়েট হোক- এই শীতে ত্বককে সুস্থ রাখতে পেটকে দিতে হবে উপযোগী আহার। এবার নাও বুবুর পরামর্শ:

গ্রিন টি বাড়াবে ভেতর থেকে শক্তি:

এই সময়ে ঠান্ডা, একটু হাঁচি বা কাশির প্রকোপটা এড়াতে পারছেন না অনেকেই! আর যে বাতাস, রাস্তায় বের হলেই অবস্থা টাইট!

এসময়ে যারা চা পানে অভ্যস্ত তারা যদি দুধ চাকে একটু বাই বাই বলে গ্রিনটিতে ধাতস্ত হন – তাহলে মন্দ হয় না! কারণ এটি এন্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস।

তাই প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন-টি পান করলে আমাদের ঠাণ্ডার সমস্যা দূর হবে।

beauty, beauty tips, winter care, green tea

গরম পানি আর মধুর মিলন:

মধু হলো সর্বোপকারী একটি উপাদান. বিশেষ করে এই ঠাণ্ডায়! সকাল সকাল হালকা কুসুম গরম পানিতে একটু মধু মিশিয়ে পান করে ফেললে সারাদিন লাগবে ঝরঝরে!

এমন কী শীতের রাতে মধু খেয়ে ঘুমান। ঘুমানোর সময় হিম ভাবটা তাহলে আর জেঁকে বসবে না!

আদায় শক্তি – শীতে বাধা:

আদা, আদা, আদা! যদি গরম চা খেতেই হয় শীতকে বশ বানাতে, তাহলে আদা চা হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র! শীতে আদার চা না হলে কি হয়? অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রামণ প্রতিরোধে কাজ করে। সাথে একটু লেবু মিশিয়ে নিয়ে ভিটামিন সি-ও চলে আসবে আদার গুণের সাথে। অতএব কেল্লাফতে!

এবং ভিটামিন এ:

শুধু রাতকানা নয়, শীতকালেও প্রয়োজন ভিটামিন এ! যেভাবে ত্বকের উপর বৈরী আবহাওয়ায় প্রতাপ- তাতে ভিটামিন এ-তে ভরপুর গাজর আমাদের শীতের সময়ে সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গাজর দিয়ে স্যুপ, সালাদ, জুস, সবজি যেভাবে ইচ্ছা খেতে পারেন!  আর কিছু করার সময় না পেলে গাজর হাতে নিয়ে, ধুয়ে –মুখে কুড়মুড় করে চাবিয়ে খেয়ে ফেলুন! তাতে দুটো লাভ হবে।

প্রথমত, আপনার মাড়ি ঠিক আছে কিনা সেটাও বুঝতে পারবেন, দ্বিতীয়ত, কিছু বানানোর কষ্ট করতে হলো না!

আর এই পেটকে শান্ত রাখার পাশাপাশি ত্বককে সুস্থ রাখতে দ্বারস্থ হতে পারেন আমার প্রিয় বন্ধু Sheba.xyz -এর দরজায়! Sheba.xyz –এর বিউটি রিলেটেড সার্ভিস থেকে পছন্দের প্যাকেজ নিয়ে  ঘরে বসেই শীতে নিতে পারেন ত্বকের যত্ন!

এজন্য আজই ইনস্টল করতে হবে Sheba.xyz অ্যাপ!

 

  • রুম্পা সৈয়দা ফারজানা জামান

 

Leave a comment

Casinos en Argentina con Depósito Mínimo de 1000 ARS