এই বছর জুড়ে থাকা ছুটিগুলোতে পরিবার পরিজন কিংবা বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় তার চিন্তা করছেন?
আপনার এই চিন্তা কিছুটা কমিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হিসেবেই আজ তুলে ধরছি ঢাকার অদূরে গাজীপুরে থাকা অপরূপ সুন্দর “ছুটি রিসোর্ট” এর গল্প।
কোথায় অবস্থিত?
ঢাকা থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরে মাত্র দেড় ঘন্টার দূরত্বে গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত চার তারকা এই রিসোর্টটি।
কি কি পাবেন?
একটি সুন্দর দিন কাটাতে যা যা দরকার তার থেকেও বেশি সুযোগ সুবিধা এবং বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।
বিনোদনের জন্য ছুটি রিসোর্টে রয়েছে চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেষ্টিত একটি সুইমিং পুল যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য সুইমিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
এর পাশাপাশি রয়েছে স্পোর্টস জোন, ইনডোর গেমস জোন এবং একেবারে ছোটদের জন্য কিডস জোন।
আরো পড়ুনঃ গাজীপুর সাফারী পার্ক | ভ্রমন গাইড
এসব জায়গায় যেকোনো ধরণের খেলায় মেতে উঠতে পারবেন আপনি বন্ধুদের নিয়ে। পাশাপাশি ছুটি রিসোর্টে রয়েছে বিভিন্ন মাছে ভরা একটি লেক যেখানে মাছ ধরার ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে বোটিং জোন যেখানে ক্ষনিকের জন্য নিজেকে মাঝি মনে করে নৌকা নিয়ে সময় কাটাতেই পারেন।
রিসোর্টে আরও রয়েছে একটি ছোট চিড়িয়াখানা যেখানে বিভিন্ন দেশি বিদেশী পাখি এবং কিছু বন্যা প্রাণী রয়েছে।
আরও একটি আকর্ষণ রয়েছে ছুটি রিসোর্টে, আর তা হল হর্স রাইডিং। ছুটি রিসোর্টে এসে সবকিছু ভুলে অশ্বারোহন-এ নিজেকে ব্যস্ত রাখতেই পারেন।
এবার আসা যাক ছুটি রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থাতে। রিসোর্টে মোট ১১ ধরণের রুম রয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন কটেজ, স্যুট কিংবা ভিলা।
বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ভিত্তিতে উডেন কটেজ, ঐতিহ্য কটেজ, ডুপ্লেক্স ভিলা, ডিলাক্স টুইন এবং প্লাটিনাম কিং।
এরপর আছে ভাওয়াল কটেজ এবং প্রিমিয়াম ডুপ্লেক্স ভিলা। আর ছুটি রিসোর্টে একদম বিলাসবহুল সময় কাটাতে চাইলে আপনি নিতে পারেন ফ্যামিলি কটেজ অথবা এক্সেকিউটিভ স্যুট।
ছুটি রিসোর্টের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রুমটির নাম রয়েল স্যুট।
ছুটি রিসোর্টে থাকা প্রতিটি রুমের সাথেই রয়েছে কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট, ফলের ঝুড়ি এবং পানির বোতল।
আর সাথে রিসোর্টের অপরূপ দৃশ্য তো থাকছেই।
অফিসিয়াল অনুষ্ঠান কিংবা মিটিং অথবা বিভিন্ন ট্রেনিং বা ওয়ার্কশপ করতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে ছুটি রিসোর্টে।
সুকুন্দি এবং ছায়াবীথি হলে এধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করার সুব্যবস্থা রয়েছে। ২০০ জনের ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট এই হলগুলোতে রয়েছে শীতাতপ ব্যবস্থা, ফ্রি ওয়াইফাই এবং ৭৫টি পর্যন্ত গাড়ি রাখার সুব্যবস্থা।
অ্যাডভান্স পেমেন্ট এর মাধ্যমে এই হলগুলো বুকিং করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ভাওয়াল রিসোর্ট । ভ্রমন গাইড
খাওয়ার ব্যবস্থাঃ
থাকার কথা তো হল, এবার আসা থাকা খাবারের ব্যবস্থায়। ছুটি রিসোর্টে বারবিকিউ, স্নাক্স, নানা ধরণের ফ্রেশ জুস এবং ট্র্যাডিশনাল পিঠার জন্য রয়েছে একটি পুল কাফে।
এছাড়া রয়েছে দীঘির জল লেকভিউ রেস্তোরাঁ যেখানে পাওয়া যায় থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান এবং ট্র্যাডিশনাল বাংলা খাবার।
আর আপনি যদি কোনো স্পেশাল অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চান তাহলে তার জন্য রয়েছে ছায়াবীথি হল। এখানে রকমারি খাবার আইটেম পাওয়া যায় যেগুলো বিভিন্ন স্পেশাল অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ
ছুটি রিসোর্টে রয়েছে নিজস্ব পার্কিং ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাই প্রাইভেট কার নিয়ে ছুটি রিসোর্টে যেতে চাইলে কোনো চিন্তাই করতে হবেনা।
রেন্ট এ কার সার্ভিস নিয়ে যদি ছুটি রিসোর্টে ঘুরে আসতে চান তাহলে তো আর কোনো ভাবনাই নেই।
এখন ঘরে বসেই দেশের বৃহত্তম অনলাইন সার্ভিস মার্কেট Sheba.xyz অ্যাপ থেকে খুঁজে নিন আপনার প্রয়োজনীয় সিটসংখ্যা অনুযায়ী রেন্ট এ কার সার্ভিস আর আরামে ঘুরে আসুন ছুটি রিসোর্ট।