ধেয়ে আসছে ফণী!
গত ৪০ বছরের ইতিহাসে বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশে আঘাত হানতে যাচ্ছে আগামী শনিবার, ৪ মে’র মধ্যে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৬০-১৮০ কিমি এর মতো। এটি আয়তনে প্রায় ২ লক্ষ বর্গকিলোমিটার, যা বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও বড়!
এর প্রভাবে হতে পারে –
- প্রবল ঝড়-বৃষ্টি
- জলচ্ছাস
- ভূমিধ্বস
- এমনকি বন্যাও…
সুতরাং সামান্য অসতর্কতাও ডেকে আনতে পারে অসংখ্য মৃত্যু! তাই আমাদের এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ফণীর ছোবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। চলুন জেনে নেই ঘূর্ণিঝড় পূর্বকালীন, চলমান সময়ে এবং শেষে কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ঝড় পূর্ব সতর্কতা
১। পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন এবং শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।
২। বাসার ইলেকট্রিকের তার ঠিকমতো কাজ করছে কিনা দেখে নিন।
৩। লণ্ঠন, হ্যারিকেন, কাঠের বোর্ড এবং টর্চ হাতের কাছে রাখুন।
৪। টিন, চেয়ার, টেবিলের মতো হালকা বস্তু ছাদে বা খোলা জায়গায় রাখবেন না।
৫। জানালা কাঁচের হলে বোর্ড জাতীয় কিছু ঝুলিয়ে দিন।
৬। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওয়াটারপ্রুফ ফাইলে ভরে রাখুন।
৭। জানালা-দরজার লক ঠিকমতো আছে কিনা দেখে নিন।
৮। মোবাইলে সম্পূর্ন চার্জ দিয়ে রাখুন।
৯। গবাদিপশু থাকলে তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখুন।
১০। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ সংবাদ সম্পর্কে আপডেটেড থাকুন। প্রয়োজনে পরিবারসহ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিন।
ঝড় চলাকালীন সময়ে যা যা করণীয়ঃ
১। পরিবারের সবাই একসাথে নিরাপদ জায়গায় থাকুন।
২। বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।
৩। মূল্যবাণ সামগ্রী উঁচু স্থানে তুলে রাখুন।
৪। ঘরের দরজা এবং জানালা ভালোভাবে আটকে রাখুন।
৫। বাইরে যাতায়াত থেকে বিরত থাকুন।
ঝড় পরবর্তী করনীয়ঃ
১। ঝড় সম্পূর্ন ভাবে থামার আগে পর্যন্ত নিরাপদ স্থান ত্যাগ করবেন না
২। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি বা গাছপালা থেকে দূরে থাকুন
৩। ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুতের তার থেকে দূরে থাকুন।
৪। বিদ্যুৎ সংযোগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিনা চেক করুন
৫। বৃষ্টির পানি ধরে রাখুন।
৬। বিপদগ্রস্থ মানুষদের উদ্ধারে এগিয়ে আসুন
৭। প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
পরিশেষে সবাই সতর্ক থাকুন, সাবধান থাকুন এবং ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগেই নিরাপদ স্থানে পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিন।