জেনে নিন, গাড়ির জ্বালানি খরচ ও মেইনটেনেন্স-এর জন্য এল.পি.জি. কনভার্সন-এর সুবিধা।
গাড়ির জ্বালানি নিয়ে চিন্তা সবারই থাকে। কথায় বলে- “গাড়ি থাকা আর হাতি পোষা একই কথা”। এমন অনেকেই আছেন, যারা জ্বালানির খরচের কথা ভেবেই গাড়ি কিনছেন না। দিন শেষে, গাড়ি কিনলেই তো হবে না, সেটাতো চালাতেও হবে।
গাড়ির জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল, অকটেন সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে। বড় গাড়ির ক্ষেত্রে প্রায়ই ডিজেল ইঞ্জিন গাড়িও দেখা যায়। এমনিতে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে অকটেন-ই বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। কিন্তু খরচের কথা ভেবে অনেকেই অকটেন-এ নিয়মিত গাড়ি চালান না।
মাঝে রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি)-এর আগমন অনেকের স্বপ্নের গাড়ি-ই বাস্তবে পরিপূর্ণ করায় বড় কারণ হয়ে ওঠে। কিন্তু এতে ইঞ্জিন-এর ঝুঁকির আশঙ্কা কিছুটা থেকেই যায়।
বিগত কয়েক বছর ধরে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এল.পি.জি.) সারাবিশ্বেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তরলীকরণ এই গ্যাস বিশ্বব্যাপী ‘অটোগ্যাস’ নামেও সমাদৃত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই এল.পি.জি. গ্যাস আমরা অনেকেই ‘সিলিন্ডার গ্যাস’ হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। রান্নার গ্যাস এখন গাড়ি চালাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
চলুন জেনে নিই, গাড়ি এল.পি.জি. কনভার্সনের কিছু সুবিধা।
১- ইঞ্জিন মেইনটেনেন্স-
গাড়ি এল.পি.জি. কনভার্সন-এর প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে ইঞ্জিন-এর কার্যকারিতা। অকটেন-এর বিকল্প হিসেবে ইতিমধ্যেই এল.পি.জি. বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এল.পি.জি. যেহেতু তরল হিসেবে ইঞ্জিন-এ প্রবেশ করে, তাই এই জ্বালানি পুরোপুরি ইঞ্জিন-বান্ধব।
পাশাপাশি, এল.পি.জি.-এর জন্য সিএনজি-এর মতো সাধারণতঃ এতো বড় সিলিন্ডার-এর প্রয়োজন হয় না। এল.পি.জি. সিলিন্ডার-এর ওজন, সিএনজি সিলিন্ডার-এর তুলনায় প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। ওজনে কম হওয়ায় এই সিলিন্ডার গাড়ির সাসপেনশন-এ কম প্রেশার দেয়, তাই গাড়ির ব্যালেন্স-ও বজায় থাকে।
এছাড়া, সিএনজি ইঞ্জিনের তাপমাত্রা প্রায় ২০০-৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট-এ উন্নীত করে। অপরদিকে, এল.পি.জি. ইঞ্জিনের তাপমাত্রা কমবেশি ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট-এর কাছাকাছি রাখে। ফলে ইঞ্জিন ঠান্ডা থাকে, ক্ষতি হবার আশঙ্কাও কমে যায় অনেকগুণ।
২- কম খরচ-
গাড়ি এল.পি.জি. কনভার্সন-এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জ্বালানি খরচ তুলনামূলকভাবে কম হওয়া। অকটেন-এর তুলনায় এল.পি.জি.-এর মূল্য অনেকাংশেই কম। সিএনজি-এর সাথে তুলনায়ও এল.পি.জি. বেশি সাশ্রয়ী। কারণ, সিএনজি-এর সাথে বাতাসের সংমিশ্রণ থাকে, তাই সিলিন্ডার ভর্তি করে গ্যাস নিলেও তেমনটা লাভ হয় না।
অপরদিকে এল.পি.জি. যেহেতু পুরোটাই তরল, তাই সিলিন্ডার ভর্তি করে নেয়া যায়। এছাড়া, সিলিন্ডারে কতোটুকু সিএনজি নেয়া যাবে, সেটি নির্ভর করে ফিলিং স্টেশন-এর প্রেশার-এর উপর। অনেক সময়ই ফিলিং মেশিন-এ প্রেশার কম থাকায় সিলিন্ডার ভর্তি করে গ্যাস নেয়া যায় না। তবে এল.পি.জি.-এর ক্ষেত্রে প্রেশার-এর কোন ইস্যু নেই, তাই সিলিন্ডার ভর্তি করে নেয়া যায়। এতে একদিকে যেমন বেশি পথ যাওয়া যায়, অন্যদিকে প্রতিদিনই রিফুয়েলিং-এর ঝামেলা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
ঢাকা শহরে সিএনজি পাম্প-গুলো সাধারণতঃ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। এতে অনেক সময়ই সিএনজি পাম্প-গুলোর সামনে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। অপরদিকে এল.পি.জি.-এর পাম্প-গুলো প্রায় সারাদিনই খোলা থাকে, তাই রিফুয়েলিং-এও সময় বেঁচে যায় অনেকটাই।
৩- পরিবেশ-বান্ধব-
সিএনজি-এর তুলনায় এল.পি.জি. কম কার্বন নিঃসরণ করে। তাই এল.পি.জি. অন্যান্য সব জ্বালানির থেকে আরও বেশি পরিবেশ-বান্ধব। তাছাড়া এল.পি.জি.-এর সিস্টেম লস মাত্র ৫%, যেখানে সিএনজি-এর সিস্টেম লস প্রায় ২৫%। ফলে অপচয়-ও হয় কম। এসব কারণে এল.পি.জি.-কে ক্লিন ফুয়েল/গ্রিন ফুয়েল হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
তাহলে আর দেরি না করে আজই আপনার গাড়িটির এল.পি.জি. কনভার্সন করে ফেলুন। Sheba.xyz দিচ্ছে এল.পি.জি. কনভার্সন-এর সুবিধায় অ্যাপ/ওয়েবসাইট থেকেই শিডিউল বুকিং। শিডিউল বুকিং দিন আজই।