ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যেতে চাচ্ছেন? বাণিজ্য মেলার সঠিক ঠিকানা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত?
বছর না ঘুরতেই আবারো শুরু হয়ে গেলো রাজধানীর অন্যতম আকর্ষণ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা যা স্থান পরিবর্তন এর মাধ্যমে বর্তমানে পূর্বাচলে স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছে।
তাই আজকে আমরা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কিভাবে যাবো, স্টল সংখ্যা, কি কি পাওয়া যাচ্ছে, লোক সমাগম কেমন এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানবো।
২৮ তম বাণিজ্যমেলা পূর্বাচলে
শুরু হয়ে গেলো ঢাকার এক অন্যতম আকর্ষণ ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা (Dhaka International Trade Fair)। গত ২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকার পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মাসব্যাপী বানিজ্য মেলা যা চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঢাকার কাছাকাছি অবস্থিত নতুন স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচলের কাঞ্চন ব্রিজের পাশে ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৮ তম বাণিজ্য মেলা। পূর্বাচলের ৪ নং সেক্টরের শেষের প্রান্তে কাঞ্চন ব্রিজের পাশেই এটি অবস্থিত। প্রতি বছর জানুয়ারির প্রথম দিকে মেলার কার্যক্রম শুরু হলেও এবছর ২৮ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলার কার্যক্রম কিছুটা দেরিতেই শুরু হয়েছে। তবে তা মেলায় লোক সমাগম এবং জনপ্রিয়তার উপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। দূর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন বানিজ্য মেলায় ঘুরতে আসছে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা আগে ঢাকার আগারগাঁও এ অনুষ্ঠিত হলেও গত কয়েক বছর ধরেই এই পূর্বাচলে বানিজ্য মেলার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২৮ তম বাণিজ্য মেলার টিকিট জন প্রতি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকলেও মেলায় দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভীড়। আগের মতোই জনপ্রিয়তা এবং লোক সমাগম নিয়ে বেশ চলছে পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলার কার্যক্রম।
বাণিজ্য মেলায় স্টল সংখ্যা ও কি কি পাওয়া যাচ্ছে
প্রতিবারের মতো এইবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দেশি বিদেশি স্টল মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক অর্থাৎ ৩০০ এরও বেশি দোকান বা স্টল, ছোট বড় প্যাভিলিয়ন ইত্যাদি মেলায় দেখা যাচ্ছে। নানা ধরনের খাবার থেকে শুরু করে জামা, কাপড়, হাড়ি, পাতিল, বিভিন্ন ধরনের জুয়েলারি,কার্পেট, খেলনা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৩০০টিরও বেশি স্টল বসেছে।
মাসের শেষের দিকে মেলা শুরু হলেও বর্তমানে প্রতিটি স্টলেই দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে দেশি বিদেশি গহনা বা জুয়েলারির দোকান। গৃহস্থালির পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকর্ষণীয় শখের জিনিসের স্টল দেখা যাচ্ছে বাণিজ্য মেলায় আর এই স্টলগুলোতে পন্যের জন্য ক্রেতাদের ভীড় ও চাহিদাও কম নয়। ছোট বড় দোকানসহ ইরানি প্যাভিলিয়ন, টার্কিশ প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ইত্যাদি নানা ধরনের জাকজমকপূর্ণ স্টল পূর্বাচলের এই ২৮ তম বানিজ্য মেলায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এছাড়াও শিশুদের বিনোদনের জন্য ঢাকা আন্তজাতিক বাণিজ্য মেলার এক পাশে ছোট পার্কের মতো ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড এবং খেলার ব্যবস্থা রয়েছে।
বাণিজ্য মেলায় সাপ্তাহিক এবং ছুটির দিনে লোক সমাগম
সাপ্তাহিক এবং ছুটির দিনগুলোতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও যেন লোক সমাগম একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। সাধারণ দিনগুলোতে মেলার কার্যক্রম সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে রাত ৯ টা পর্যন্ত চললেও সাপ্তাহিক এবং ছুটির দিনে মেলার কার্যক্রম রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনও নিতে পারছে।
মেলায় বিনোদনের জন্য যে ছোট পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটাতে সাপ্তাহিক ও ছুটির দিনগুলোতেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এছাড়াও ছুটির দিনগুলোতে মেলার কার্যক্রম কিছুটা বেশি সময় ধরে হওয়ায় সাপ্তাহিক ও ছুটির দিনে লোক সমাগম অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় বেশি দেখা যায়। ছুটির দিনে কেনাকাটা ও বিনোদনের মধ্য দিয়ে পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটাতে অনেক দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই চলে আসছে এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়।
পরিবার সহ বাণিজ্য মেলায় যেতে বা বাসায় আসতে কী সমস্যা হতে পারে
এ বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে পূর্বাচলে যা ঢাকা থেকে কিছুটা দূরবর্তী স্থানই বলা চলে। তাই পরিবার পরিজন সহ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যেতে এবং বাসায় আসতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বাণিজ্য মেলায় যেতে হয় বলে পরিবার সহ যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সময় এই গাড়ি পাওয়া যায় না এবং এর ফলে পরিবার সহ বাণিজ্য মেলায় যেতে এবং বাসায় ফিরে আসতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বেশি রাত হয়ে গেলে সেখানে গাড়ি পাওয়াও কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ায় সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রে কিছুটা নিরাপত্তা ঘাটতিও অনুভব করা যায়। ঢাকা থেকে বানিজ্য মেলার অবস্থান দূরে হওয়ায় যাতায়াতে অনেকটা সময় লাগে এবং এর ফলে অনেকেই পরিবার সহ যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে।
আর এসব সমস্যা থেকে আপনাকে খুব সহজ সমাধান দিচ্ছে sheba.xyz কার রেন্টাল সার্ভিস। আপনি আরও বিস্তারিত পাবেন এখানে।
বানিজ্য মেলায় যাওয়ার উপায়
ঢাকার পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ বছর যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনা দেখা যাচ্ছে। তবে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার জন্য শাটল বাসের কাউন্টার বসেছে এবং এই সব বাসে করে খুব সহজেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যাতায়াত করা যাচ্ছে। খামার বাড়ি, কুড়িল বিশ্বরোড, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ এই ৪টি স্থানে বিআরটিসি শাটল বাস গুলোর কাউন্টার বসেছে এবং এই কাউন্টার গুলো থেকে টিকিট নিয়ে এই বিআরটিসি বাস গুলোতে করেই সরাসরি বাণিজ্য মেলায় যাতায়াত করা যাবে।
বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার জন্য শাটল বিআরটিসি বাসের কাউন্টার থেকে যাতায়াত করা যদি খুব একটা সহজ বা প্রশান্তিকর না হয় তাহলে আপনারা Sheba.xyz অ্যাপ ডাউনলোড করে কার রেন্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে খুব সহজেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পৌঁছাতে পারবেন। এ ধরনের যাতায়াত ব্যবস্থায় যেমন রয়েছে অনেক সুবিধা তেমনি এই কার রেন্টাল সার্ভিস মাধ্যমে খুব দ্রুত যাতায়াত করা সম্ভব। Sheba.xyz কার রেন্টাল সার্ভিসের সুবিধাজনক দিক গুলো হলো-
- Sheba.xyz কার রেন্টাল সার্ভিস ৬ ঘন্টায় নিচ্ছে মাত্র ২৯৯০ টাকা। যা আপনাকে পরিবারসহ ভ্রমণে সহজ সমাধান দিবে।
- বাসা থেকে পিক আপ করে আবার বাসায় পৌঁছে যাবেন সহজে।
- অন্য রাইডার সার্ভিস বা প্রাইভেট কার রেন্ট করলেও এভাবে নিশ্চিত সেবা পাচ্ছেন না।
- খুব দ্রুত ও উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা পাবেন যা লোকাল বাসে পাওয়া যায় না।
- সহজে যাতায়াতের জন্য sheba.xyz থেকে গাড়ি বা কার রেন্ট মাত্র এক ক্লিকের ব্যাপার।
তাই ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সহজে ও দ্রুত যাতায়াত করার জন্য আপনারা প্লে স্টোর থেকে Sheba.xyz অ্যাপটি ডাউনলোড করে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
ডাউনলোড লিংক- https://play.google.com/store/apps/details?id=xyz.sheba.customersapp