সাধারণত খাবার ঠান্ডা রাখার জন্য ও দীর্ঘসময় ঠিক রাখার জন্য আমরা ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করে থাকি। গরমকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা নরমাল রাখলেও শীতকালে কেমন রাখা উচিত তা আমাদের অনেকেরই অজানা।  খাবারের তাপমাত্রা যখনই নির্দিষ্ট বিন্দুর উপরে উঠতে শুরু করে তখনই খাবারে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া বাড়তে থাকে। আমাদের খাদ্যে তৈরি হওয়া সব ব্যাকটেরিয়া যে খারাপ তা নয় তবে অধিকাংশ খারাপ ব্যাকটেরিয়া আমাদের খাবারের গুনমান কমিয়ে দেয়। যার ফলে বিষক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে সঠিক তাপমাত্রায় ফ্রিজে খাদ্য সংরক্ষণ না করলে রেফ্রিজারেটরের থাকার পরেও আমাদের খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া হতে পারে। পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ফ্রিজের তাপমাত্রা বজায় রাখলে আমাদের খাবার যেমন ভালো থাকবে তেমন বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে। শীতকালে যেহেতু আমাদের খাদ্য সংরক্ষণের সমস্যা কিছুটা কম তাই সে ক্ষেত্রে ফ্রিজের আদর্শ তাপমাত্রা কেমন হওয়া উচিত তা আমাদের জেনে নেওয়া ভালো।

ফ্রিজের তাপমাত্রা শীতকালে কেমন থাকা ভালো এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। চলুন তাহলে আজকের সেবা ব্লগে জেনে নেয়া যাক ফ্রিজের তাপমাত্রা শীতকালে কেমন থাকা ভালো? আশা করছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

ফ্রিজের তাপমাত্রা শীতকালে কেমন থাকা ভালো?

আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে ফ্রিজের তাপমাত্রাও পরিবর্তন করতে হয়। বছর পর বছর ধরে ফ্রিজ ব্যবহার করার পরেও অনেক মানুষই এখনও কোন ঋতুতে আদর্শ তাপমাত্রা কেমন তা জানেনা। যদি জানতেন তাহলে ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল যেমন কম আসতো তেমনি ফ্রিজ অনেকদিন টেকশইও হতো। এখনকার বেশিরভাগ আধুনিক ফ্রিজে বিভিন্ন ঋতুর চিহ্ন ব্যবহার করে রেগুলেটরে দেওয়া হয়। আর যাদের ফ্রিজে আধুনিক রেগুলেটর দেওয়া নেই তারাও চাইলে তাদের ফ্রিজের তাপমাত্রা পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারেন। 

সাধারণত ফ্রিজের নরমাল চেম্বারের তাপমাত্রা রাখা উচিত 40° ফারেনহাইট বা তার নিচে। আর ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা রাখা উচিত 0° ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার কম।

অনেক ফ্রিজে আবার তাপমাত্রা দেখানো হয় না সেখানে একটি স্ক্রিল থাকে যা এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত দেখায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি তাপমাত্রা মাপতে চান তাহলে একটি থার্মোমিটার ব্যবহার করে ফ্রিজারে ২০ মিনিটের জন্য রেখে রিডিং পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। শীতকালের ফ্রিজের নরমাল চেম্বারের তাপমাত্রা রাখা উচিত ১.৭ থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই শীতকালে আদর্শ তাপমাত্রা। যদিও শীতে তীব্রতা এবং অঞ্চলভেদে এটা সামান্য পার্থক্য হতে পারে। আর যদি এভাবে আদর্শ তাপমাত্রা ফলো করেন শীতকালেও আপনার খাবার খুব ভালো থাকবে অতিরিক্ত বরফ জমে যাবে না এবং বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।

ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত

ফ্রিজের তাপমাত্রা শীতকালে কেমন থাকা উচিত তা তো জানলেন। এখন চলুন ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা দরকার তা জেনে আসি।  যেকোনো খাবার ফ্রিজে রাখার আগে অবশ্যই তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নেয়া উচিত। তা না হলে খাবার নষ্ট হয়ে যাবে এমনকি ফ্রিজের শীতলতাও কমে যাবে। তাছাড়া ফ্রিজে অবশ্যই খাবার ঢেকে রাখতে হবে। ফ্রিজের দরজা ঠিকমতো বন্ধ হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। ফ্রিজের চারপাশে থাকা গ্যাসকেট ফ্রিজের ভিতরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখে। যদি গ্যাসকেট ফুটো হয়ে থাকে তাহলে ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে গরম বাতাস ঢুকে পড়তে পারে এতে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তাই যতটা সম্ভব ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা বন্ধ করা উচিত নয়। কারণ দরজা বেশিক্ষণ খুলে রাখলে ফ্রিজের ভেতরের শীতলতা কমে যায়। অন্যদিকে ফ্রিজ একেবারে খালি না রেখে মোটামুটি ভর্তি রাখাই ভালো এতে করে ফ্রিজে শীতলতা বজায় থাকে অনেকক্ষণ। তবে খাবার রাখার সময় ভেতরে বাতাস চলাচলের জায়গা রাখা যেতে পারে।

প্রশ্ন: ফ্রিজের সঙ্গে স্ট্যাবিলাইজার রাখা কি জরুরি?

উত্তর: অনেক সময় আমাদের কারেন্টের ভোল্টেজ উঠানামা করে যার কারণে ফ্রিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদিও এখনকার বেশিরভাগ আধুনিক ফ্রিজে বিল্ট ইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা কিনা আমাদের ফ্রিজকে নিজেদের ভোল্টেজ উঠানামা থেকে সুরক্ষা দেয়।

প্রশ্ন: ফ্রস্ট, ডি-ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্টের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: যারা খাবার দ্রুত ঠান্ডা করতে চান তাদের জন্য ফ্রস্ট ফ্রিজ উপযোগী। কারণ এই ধরনের ফ্রিজে বরফ জমে তাই খাবার দ্রুত ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ না থাকলে খাবার অনেকক্ষণ সংরক্ষণ রাখা যায়। সাধারণত গ্রাম অঞ্চল বা যেখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেশি হয় সেখানকার জন্য ফ্রস্ট ফ্রিজ উপযোগী। ডি-ফ্রস্ট ফ্রিজে খুব বেশি বরফ তৈরি হয় না। যদিও এ ধরনের ফ্রিজ ও অনেকক্ষন খাবার সংরক্ষণ করতে পারে বিদ্যুৎ না থাকলেও। নন ফ্রস্ট ফ্রিজে কোন বরফ জমে না। এ ধরনের ফ্রিজ সর্বক্ষণ চালু রাখতে হয়— তা না হলে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। যারা শহরে বাস করে সময় বাঁচানো গুরুত্বপূর্ণ তারা নন ফ্রস্ট ফ্রিজ ব্যাবহার কতে পারে। 

সবশেষে বলবো, আপনার বাসা/অফিসে যেকোন ফ্রিজের জন্য এমার্জেন্সি এবং টেকসই সমাধানের জন্য সেবার Refrigerator Services থেকে দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাপোর্ট নিতে পারেন। তাছাড়া সেবার Premium Refrigerator Repair Service ও চেক করতে পারেন। 

ফ্রিজের তাপমাত্রা শীতকালে কেমন থাকা ভালো? আশা করছি উপরোক্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আপনি এই প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গেছেন। শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিত কারণ শীতকালে বাহিরের তাপমাত্রাই অনেক কম থাকে তাই এর সাথে মানানসই তাপমাত্রা ফ্রিজে রাখতে হয়। অর্থাৎ শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা রাখা উচিত ১.৭ থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে। এই তাপমাত্রাই শীতকালে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারের জন্য ভালো। আশা করছি, আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি ফ্রিজের তাপমাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। 

আজকের আর্টিকেলটি নিয়ে আপনার যদি আর কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Sheba.xyz app Appliance Repair service

Leave a comment

Casinos en Argentina con Depósito Mínimo de 1000 ARS