বর্তমান সময়ে এসি হয়ে গেছে টিভি, ফ্রিজের মতো। গরমের দবদাহ থেকে রক্ষা পেতে, সারাদিনের পরিশ্রম শেষে রাতে শান্তির ঘুম দিতে সবাই নির্ভরশীল হচ্ছে এসি’র প্রতি। এসি এখন আর বড়োলোকের বিলাসিতার জায়গায় নেই, মধ্যবিত্ত পরিবারেও এসি থাকা এখন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকে মাসের পর মাস সঞ্চয় করে ঘরে এসি আনে, অনেকে আবার আনে মাসিক কিস্তিতে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমান সময়ে এসি’র চাহিদা এবং ব্যবহার উভয়ই বেড়েছে। আমরা অনেকেই এসি কিনে আনি ঠিকই, কিন্তু পরবর্তীতে এসি’র যত্নের ব্যাপারে কিছুই জানি না। অথবা জানলেও তা খেয়াল থাকে না। কষ্টের টাকায় কেনা এসিটা যেন নষ্ট হয়ে না যায়, পারফর্মেন্স যেন ঠিক থাকে, যেন অনেকদিন টিকে, সেজন্য নিয়মিত এসি’র সার্ভিসিং-এর বিকল্প নেই।

শীতকালের প্রায় পুরো সময়জুড়েই এসি বন্ধ থাকে। একটা ইলেকট্রিক যন্ত্র এতদিন বন্ধ থাকলে তাতে জটিলতা তৈরি হওয়া খুব স্বাভাবিক। তাই গরমের শুরুতেই এসি চালানোর আগে কিছু ব্যাপার আমলে নেওয়া উচিত। গরমের শুরুতে এসি চালানোর আগে একবার পেশাদার টেকনিশিয়ানদের দিয়ে চেকআপ এবং সার্ভিসিং করিয়ে নিলে তা এসি’র জন্য বেশ ভালো। এয়ার ফিল্টারে কোনো ময়লা জমেছে কি না, বৈদ্যুতিক সংযোগ ঠিক আছে কি না ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত হয়ে এসি চালানো উচিত। আমাদের চারপাশে প্রচুর ধুলাবালি বলে এসির যত্ন বেশি করে নেওয়া প্রয়োজন। অন্তত মাসে একবার এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করলে এসি’র পার্ফরমেন্স ভালো থাকবে।

গরমের শুরুতে এসির বৈদ্যুতিক সংযোগ, সকেট, ফিল্টার ইত্যাতি সেকশনের অবস্থাটা ঠিকমতো পরীক্ষা করতে হবে। অনেক দিন বন্ধ থাকার পর চালু করতে গেলে অবশ্যই এসির ইলেকট্রিক সংযোগ বা তারগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। অনেক দিন বন্ধ থাকা এসি চালু করলে এসির ভেতরে শব্দ হতে থাকে, অনেক ক্ষেত্রে পানিও পড়তে পারে।এসি অনেক দিন বন্ধ থাকলে এসির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হয় কুলিং বা ঠান্ডা করার ক্ষমতা কমে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে এসির ভেতরের নেট খুলে ডাস্ট ক্লিনিং করে নিতে হবে। ব্যবহারকারী নিজেই সাধারণ উপায়ে এসির ইনডোর খুলে নেট ওয়াশ করে নিতে পারেন।
এ ছাড়া কুলিং একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে বুঝতে হবে এসির ভেতরে গ্যাস ফুরিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা প্রদানকারী প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গ্যাস রিফিল করে নিতে পারেন।

যারা এসি’র যত্নের ব্যাপারে খুব একটা জানে না, তারা হয়তো এইটুকু পড়ে এসি’র প্রাথমিক যত্ন সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিন্তু এছাড়া অনেকেই আছেন, যারা এসি’র সার্ভিসিং-এর ব্যাপারে জানেন ঠিকই কিন্তু কার মাধ্যমে এবং কিভাবে সার্ভিসিং করাবেন সেই বিষয়ে কিছুই জানে না।

এসি’র সার্ভিসিং-এর ক্ষেত্রে সচারচর যা দেখা যায় তা হলো, এলাকার বাজার বা ইলেকট্রিক পণ্যের লোকাল দোকানে গিয়ে ইলেক্ট্রিশিয়ান খোঁজ করা হয়। তারপর একজনের সাথে সার্ভিস-মুজুরি ঠিক করে তাকে সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই লোকাল ইলেক্ট্রিশিয়ান আপনার কষ্টের টাকায় কেনা এসিটায় হাত দেয় অথচ আপনি জানেন না তার অভিজ্ঞতা এবং পারদর্শীতা ঠিক কতোটুকু। এলাকার লোকাল মেকানিক তো আর পারদর্শীতার সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরে না, তাই অনেকটা বিশ্বাস করেই লোকাল মেকানিকের কাছে এসি সার্ভিসিং-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনেকাংশে সঠিক সার্ভিস পেলেও কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় একটা ঠিক করতে গিয়ে আরেকটা নষ্ট করে ফেলেছে লোকাল মেকানিক। যেহেতু গ্রাহক নিজেও এই ব্যাপারে খুব একটা এক্সপার্ট না, সেই সুযোগ নিয়েই লোকাল মেকানিকরা দিনের পর দিন এসি সার্ভিসিং করে যাচ্ছে বিশেষ কোন নির্ভরযোগ্যতা বা গ্যারান্টি ছাড়া। এর ফলে অনেক গ্রাহকই ভোগান্তির শিকার হয়। দেখা যায় মেকানিক এসি’র গ্যাস রিফিল করতে এসেছে, যাওয়ার সময় নষ্ট করে দিয়ে গেছে এসি’র ফিল্টার। আর দুঃখের ব্যাপার এতে কিচ্ছু করারও থাকে না! লোকাল মেকানিক, ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব কে নিবে? শেষে দেখা যায় সস্তার হয় হয় তিন অবস্থা।

এই তো গেল তিল থেকে তাল হওয়ার ঝামেলা। এরপর আসে নিরাপত্তার বিষয়। একজন লোকাল মেকানিক আপনার ঘরে আসছে, অনেক সময় দেখা যায় ঘরে বেশি মানুষও থাকে না। সেই মেকানিক দ্বারা যেকোনো অঘটন ঘটে যেতেই পারে। এর চেয়ে বড়ো সমস্যা হলো, অপ্রিতীকর কিছু ঘটে গেলেও আপনার হয়তো কিছুই করার থাকবে না।

তাই এসি সার্ভিসিং মানে শুধুই সার্ভসিং না। উপযুক্ত লোকের হাতে সঠিক সার্ভিসিং সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সাথে, এমন হওয়া উচিত এসি সার্ভিসিং পলিসি। অনেক সময় আমরা যেই ব্র্যান্ডের এসি কিনি সেই ব্র্যান্ডের ডেডিকেটেড সার্ভিসিং টিম থাকে। যারা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিসিং দিয়ে থাকে। কিন্তু এর পর? রিয়েয়ার ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে গেলে কি করবেন? লোকাল মেকানিককে ঘরে আনবেন? না তা আর করতে হবে না। আপনি যদি উপযুক্ত সার্ভিস এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা একসাথে চান তাহলে আপনি Sheba.xyz-এর সেবা নিতে পারেন। সেবা প্রদানকারী এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেবার পাশাপাশি এসি সার্ভিসিং-এর সেবাও দিচ্ছে। এই সেবা নিতে আপনার শুধু মোবাইল ফোনে কয়টা ট্যাপ করতে হবে। আপনি কেমন সার্ভিস চান, কোন এক্সপার্টের সার্ভিস চান, এসির ফিল্টার চেঞ্জ করবেন নাকি গ্যাস রিফিল করবেন ইত্যাদি বিষয় ইনপুট দিলেই নির্দারিত সময়ে আপনার বাড়িতে উপস্থিত হবে এক্সপার্ট টেকনিশিয়ান। Sheba.xyz-এর প্রতিটি টেকনিশিয়ান যার যার কাজে এক্সপার্ট, অথরাইজড এবং রেজিস্টার্ড। এমন কি আপনি টেকনিশিয়ানদের রেটিং দেখতেও পারবেন, রেটিং দিতেও পারবেন। কোন কারণে টেকনিশিয়ান যদি একটা কিছু ঠিক করতে গিয়ে অন্য একটা কিছু নষ্ট করে ফেলে তাহলে সেই দায়িত্ব নিবে Sheba.xyz! মানে আপনি ঘরে বসে এক্সপার্ট টেকনিশিয়ান ডাকবেন, টেকনিশিয়ান এসে আপনার এসি’র কাঙ্ক্ষিত সকল সার্ভিসিং করে দিবে, সার্ভিসিং শেষে পেমেন্ট করে দিবেন। ব্যাস! জ্বি হ্যাঁ, এসি সার্ভিসিং-এর পুরো ব্যাপারটা Sheba.xyz এতোটাই সহজ করেছে গ্রাহকদের জন্য।

দীর্ঘদিন এসি’র পার্ফরমেন্স ঠিক রাখতে নিয়মিত এসি’র সার্ভিসিং করাতে ভুলবেন না। আর খুব সহজে অল্প সময়ে কিভাবে এসি’র সার্ভসিং করাবেন তা তো এখন জেনেই গেছেন।

 

 

Leave a comment

Casinos en Argentina con Depósito Mínimo de 1000 ARS